বয়কট কি এবং কেন হচ্ছে?
কলকাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা: চারিদিকে একটাই
কথা চাইনিস দ্রব্য বয়কট করো। দেশীয় দ্রব্য গ্রহণ করো। কিছুদিন আগে হওয়া চীনা হামলা
থেকে মূলত এই কথাটি এখন আরো একবার জনসাধারনের সামনে উঠে এসেছে। আসলে বয়কট আন্দোলন এর
উৎপত্তি কোথায়? কাকে বলে বয়কট আন্দোলন? দেশে কিভাবে এটা কার্যকরী হচ্ছে?
বয়কট আন্দোলন কি?
দেশ স্বাধীনতা লাভের আগে, মহাত্মা গান্ধী এর নেতৃত্বে
বয়কট আন্দোলন করা হয়েছিল। ব্রিটিশদের বিরোধিতা করে, তাঁদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন করা হয়েছিল। ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলনে মুখ্য কর্মসূচি
বা অস্ত্র ছিল বয়কট আন্দোলন। এর উদ্দেশ্যে ছিল ব্রিটিশ পণ্য বর্জনের দ্বারা ব্রিটিশ
পুঁজির উপর আঘাত আনা।
বয়কট আসলে কি?
বয়কট কথা অর্থ হলো বর্জন করা। বিদেশি পণ্যকে এড়িয়ে যাওয়াকেই বয়কট করা বলা হয়।
কিভাবে এটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে?
দেশে শুধুমাত্র করোনা পরিস্থিতি নয়,
আরও বেশ
কিছু কারণের জেরে দেশের বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন মানুষ চাইনিস দ্রব্য বয়কট করতে অগ্রসর
হয়েছেন। Galwan Valley সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে
শহীদ হয়েছেন 20 জন জাওয়ান। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও বেশি জন। মূলত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই
রাজনীতিবিদসহ স্থানীয় বেশকিছু লোক বয়কট এর প্রতি সরব হয়ে উঠেছেন। মূলত চাইনিস আগ্রাসনের
প্রতিদিন জবাব দিয়েই তারা এমনটা করছেন।
সম্প্রীতি বয়কট কে কেন্দ্র করে বহু ভিডিও ও টেক্সট ভাইরাল হয়েছে। প্রত্যেকটার মুলে
একই কথা চাইনিস দ্রব্য বন্ধ এবং নিজ দেশের দ্রব্য গ্রহণ করা। আমাদের দেশ তথা সমগ্র
বিশ্বে চাইনিস দ্রব্য (বিশেষত মোবাইল এবং apps
অন্যান্য
দ্রব্য) বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু ফেলে দেওয়া সম্ভব নয়, তাও ধীরে ধীরে এই প্রচেষ্টা প্রাধান্য পাচ্ছে জনসাধারণ এর কাছে।
ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের বারাণসী,
বিহারের
পাটনা, আমেদাবাদ, ভাদোদরা, গুজরাট, সুরাট সহ বহু জায়গায় এর শুরু হয়েছে। আমাদের রাজ্যেও এর বিস্তার
হতে বেশি সময় নেই।
0 Comments