জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কড়া নির্দেশজারি fssai এর তরফে, মানতে হবে সকল মিষ্টি বিক্রেতাকে
কলকাতা, নিজস্ব সংবাদদাতা: বিশেষত লকডাউন পরিস্থিতি এবং তার আগেও বেশ কিছু খবর এসেছিল যার মধ্যে থেকে মিষ্টি দোকানের কিছু অসামরিক কাজের কথা জানতে পারা যায়। অন্যান্য খাবারের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই, প্যাকেটের গায়ে বা খাবারের ডিবের পেছনে এক্সপায়ারি ডেট এবং ম্যানুফ্যাকচার ডেট লেখা থাকে। যার ফলে ক্রেতারা একভাবে সতর্ক থাকে যে কতদিন পর্যন্ত জিনিসটি ভালো থাকবে এবং কত দিন আগেই খাবারটা শেষ করে দিতে হবে বা কতদিন পর্যন্ত খাবারটা খাওয়ার উপযোগী। কিন্তু মিষ্টির ক্ষেত্রে এরূপ কোন সুবিধা না থাকায় তা বারবার ধোকায় পড়েন। যার ফলে যে রকম মিষ্টির স্বাদ খারাপ হয়, ক্রেতা খারাপ মিষ্টি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।সেরকমই মিষ্টি দোকানের নাম খারাপ হয়।
বর্তমানে জনসাধারণের স্বাস্থ্য কথা মাথায় রেখে FSSAI এর দ্বারা একটি কড়া নির্দেশ জারি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে মিষ্টি দোকানদারদের প্রতি বলা হয়েছে যেন এবার থেকে,যা মিষ্টি উৎপাদন হবে সবগুলোর নষ্ট হয়ে যাওয়ার তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এর ধারা জারি করা এই নির্দেশ সকল মিষ্টি দোকানকে কড়াকড়িভাবে মানতে হবে। অনেক সময় মিষ্টির দোকানদাররা কৌটোর মাধ্যমে আগে থেকে প্যাক করা মিষ্টি ক্রেতাকে বিক্রি করেন। সে ক্ষেত্রে ওই মিষ্টি কৌটোর গায়ে লিখে রাখতে হবে, কতদিন পর্যন্ত মিষ্টি গুলি ভালো থাকবে।
দেশের সমস্ত মিষ্টি বিক্রেতা কে এই নির্দেশ কড়াকড়ি ভাবে পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে মিষ্টি ট্রেতে রাখা হয় সেখানেও লিখে রাখতে হবে best before date, যাতে করে ক্রেতার মিষ্টি কিন্তু সুবিধা হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাঁশি মিষ্টি খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে মিষ্টি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। এরপরই জনসাধারণের স্বাস্থ্য কথা মাথায় রেখে এই নির্দেশ জারি করা হয়।
FSSAI এর দ্বারা সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের খাদ্য সুরক্ষা অধিকারীকে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, আগামী 1 অক্টোবর থেকে যে সমস্ত মিষ্টির দোকানগুলোতে ট্রেতে মিষ্টি বিক্রি হয় সেই ট্রে গুলোতে best before date লিখে রাখতে হবে।
0 Comments